চায়ের কাপে জীবনের গল্প—মিহির বিশ্বাসের একান্ত গল্প
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলি বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকেই জমে ওঠে এক নির্ভরতার আড্ডা—চা দোকানি মিহির বিশ্বাসের ছোট্ট চায়ের দোকান। বয়সের ছাপ তার মুখে স্পষ্ট হলেও হাসিমাখা চেহারার এক অনন্য সৌন্দর্য আছে, যা যে কাউকে মুগ্ধ করে। তিনি শুধু চা বিক্রি করেন না, বিনয়ের সঙ্গে মানুষের মনের ক্লান্তি দূর করেন। নম্র-ভদ্র একজন মানুষ মিহির বিশ্বাসের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেই বোঝা যায়, তিনি কতটা বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ। গলার স্বর নরম, চোখে আত্মবিশ্বাস, আর কথায় আন্তরিকতা—এ যেন আজকের দিনে এক বিরল গুণ। তিনি সবার সঙ্গে সম্মান রেখে কথা বলেন, এমনকি নতুন অতিথির প্রতিও তার আচরণ থাকে অত্যন্ত আন্তরিক। বাজারে যারা নিয়মিত আসেন, তারা বলেন, “মিহিরদার চায়ের দোকান না হলে সকালটাই যেন জমে না।” জীবনের কঠোর বাস্তবতায় গড়া মিহির বিশ্বাসের জীবনের গল্পটা ঠিক যেন আমাদের আশেপাশের অনেক নামহীন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। ছোট্ট এই দোকানই তার রোজগারের একমাত্র উৎস। তবে এতে তার কোনো হতাশা নেই। বরং পরিশ্রমকে ভালোবেসেই তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের আত্মসম্মান। বাজারে দাঁড়িয়ে মানুষজনের জন্য চা বানানোর মাঝে তিনি খুঁজে পান জীবনের মানে। দোকান আর মান...