পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বপ্নের মায়াজাল: এক নতুন সকাল

ছবি
  স্বপ্নের মায়াজাল: এক নতুন সকাল সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। দিনের ক্লান্তি আর হাজারো দুশ্চিন্তা নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিলাম। কখন যে ঘুমের গভীর অতলে তলিয়ে গেলাম, টের পাইনি। হঠাৎ করেই স্বপ্নটা এল। অদ্ভুত এক অনুভূতি! চারপাশে কেমন যেন নীরবতা, আর আমি নিজেকে দেখছি শুয়ে আছি, নিথর, প্রাণহীন। চারপাশে পরিচিত মুখগুলো ভিড় করে আছে, সবার চোখে জল। আমি স্পষ্ট শুনছি তাদের ফিসফিসানি, "উনি নেই, চলে গেল!" আমার বুকটা ধড়ফড় করে উঠল। এ কী দেখছি আমি! আমি কি সত্যি মরে গেছি? ভয়ের একটা হিমশীতল স্রোত আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল। চিৎকার করে কিছু বলতে চাইছি, কিন্তু স্বর ফুটছে না। হাত-পা নাড়তে চাইছি, কিন্তু কোনো শক্তি নেই। কেমন এক অসহায় অনুভূতি। পরিচিত ঘর, পরিচিত মানুষ—সবকিছুই আছে, শুধু নেই আমি। একসময় স্বপ্নের দৃশ্যটা ফিকে হয়ে এল। মনে হলো আমি কোনো এক অচেনা সুরঙ্গের মধ্যে দিয়ে ভেসে যাচ্ছি। চারপাশে মৃদু আলোর আভাস, আর একটা অদ্ভুত শান্তি আমাকে ঘিরে ধরছে। ভয়ের অনুভূতিটা ধীরে ধীরে কেটে গেল, তার জায়গা নিল এক অদ্ভুত প্রশান্তি। মনে হলো, এতদিনের সব চাপ, সব দুশ্চিন্তা যেন এক নিমেষে উধাও হয়ে গেল। ...

মানবতার মন্দির

ছবি
  🕊️ মানবতার মন্দির লিখেছেন: নিতাই বাবু 🌼 ভূমিকা আজকের সমাজে আমরা ধর্মীয় আচারে যতটা উৎসাহী, মানবিক দায়িত্ববোধে ততটাই উদাসীন। মন্দিরে দান করি, প্রার্থনায় মাথা নত করি, কিন্তু পাশের ক্ষুধার্ত মানুষটির দিকে তাকাই না। এই কবিতাটি সেই বাস্তবতাকে সামনে আনে—যেখানে ভগবানের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে মানবতা। ✍️ কবিতা: মানবতার মন্দির মন্দিরের দান বাক্সে ফেলে টাকা শতশত, ধনী-গরিব মিলেমিশে ভক্তবৃন্দ আছে যত। ভক্তিভরে করে দান, হাত জোড়ে মাথা নত, দেয় না তাদের, যারা ক্ষুধায় কান্নায় থাকে রত। ঘণ্টাধ্বনি, প্রদীপ জ্বলে, ধূপে ভরে চারদিক, মনে রাখে না কেউ পাশের ক্ষুধার্ত শিশুটিক। ভগবানের নাম জপে, পূজার ফুলে পূর্ণ থাল, দেয় না একমুঠো ভাত, যার ঘরে নেই আজকাল। মন্দিরে যে স্বর্ণ মুকুট, সেই মুকুটে কী দাম? যদি পথে মরে শিশু, পত্রিকায় উঠে না তার নাম। ভক্তি যদি হয় সত্য, তবে সে তো হবে প্রীতি, মানবসেবাই ধর্ম, সেখানেই থাকে ঋতি। ভগবান কি চায় ধূপ-ধুনো, সাজসজ্জা আর ধ্বনি? নাকি চায় সে সহানুভূতি—প্রেমের অমলবাণী? মন্দির নয়, মানব হৃদয় হোক তোমার পূজার স্থান, ভালোবাসা দাও সবারে, তবেই হবে প...

চারদিকে যুদ্ধের ডামাডোল

ছবি
  যুদ্ধ থামবে কবে? ✍️ ভূমিকা যুদ্ধ—শব্দটি শুনতেই যেন গা শিউরে ওঠে। ধ্বংস, কান্না, হাহাকার আর অনিশ্চয়তা—এই শব্দের পেছনে লুকিয়ে থাকে হাজারো বেদনার গল্প। চারপাশে যখন যুদ্ধের ডামাডোল, তখন মানবিক অনুভূতিরা মুখ লুকায় ধ্বংসস্তূপে। এই কবিতাটি লেখা হয়েছে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলিকে স্মরণ করে— যেখানে শিশুর কান্না, মায়ের চোখের শূন্যতা আর বৃদ্ধের নির্বাক হতবাক চাহনি একসাথে মিলিয়ে দেয় এক বেদনার বার্তা। যুদ্ধ যুদ্ধ, চারদিকে শোক, জ্বলছে নগর, পুড়ছে লোক— আকাশ কাঁদে, মাটি নড়ে, নিঃশব্দ গ্রামে কান্না পড়ে। শিশুর চোখে ভয়ের ছবি, মায়ের বুকে আগুন থাবি। না আছে আশা, না আছে শান্তি, চারিদিকে মৃতের ভ্রান্তি। জানেনা কেউ— থামবে কবে, এই রক্তধারা গঙ্গা হবে? ছেলে জানে না, না জানে বৃদ্ধ, হারায় প্রতিদিন হাজার চিত্ত। যোয়ান গেছে, ফেরা নাই, পথে পথে শুধু পঁচা নিস্তাই। কে দেবে শান্তির একটুকু গান? কে রাখবে রক্তে ভেজা প্রাণ? যুদ্ধ থামুক, এই কামনা, ভালোবাসা হোক জীবনের মানা...