পোস্টগুলি

গ্রামীণ জীবন লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অবহেলিত প্রাণী কুকুরের ভালবাসা

ছবি
অবহেলিত প্রাণী কুকুর অবহেলিত প্রাণী কুকুর কুকুর প্রাণিগুলো পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের কাছে অবহেলিত। এদের মধ্যে নামমাত্র কিছু উঁচু গোত্রের অল্পসংখ্যক প্রাণী থাকে আদরে। আর সবই থাকে অনাদরে আর অবহেলায়। এই প্রাণীটির নাম কুকুর। আমরা অনেকেই সোজা কথায় কুত্তা বলে ডাকি। এদের ইংরেজিতে কি যেন বলে? তা লিখে আমি সবাইকে ছোট করতে চাই না। কারণ, এগুলোর ইংরেজি শব্দ লিখবার শিক্ষাগত যোগ্যতা আমার নেই। শুধু জানি, এগুলো কুকুর, কথা বলতে পারে না। কথা না বলতে পারলেও, এরা মানুষের চোখ এবং হাতের ইশারা সবই বুঝে। বুঝে না শুধু বেঈমানি। থাকে না কোনো মিথ্যা প্রচারণায়। এদের মতন আরও অনেক-অনেক প্রাণীই আছে, ওরাও আমাদের কাছে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। এদের নিয়ে আমি কোনও গবেষণা করছি না। আর এদের নিয়ে গবেষণা পর্যালোচনা করার মতো ডিগ্রিও আমার নেই। গবেষণা করার অভিজ্ঞতা ছাড়া, কুকুর-বিড়াল নিয়ে কোনো গবেষণা করা যায় না। যদিও করি, তা হলে সাহায্য নিতে হবে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল অথবা উইকিপিডিয়া ও বাংলাপিডিয়ার। এসব সাইটের তথ্য নিয়ে কিছু লিখলে আবার সেই লেখা ব্লগে প্রকাশ হবে না। কেননা, এসব তথ্যানুসন্ধান সাইটগুলোর লিংক ...

স্মৃতির সন্ধ্যায় সুপারি গাছের খোলের জুতা

ছবি
স্মৃতির সন্ধ্যায় সুপারি গাছের খোলের জুতা ১৯৬৭ সালের কথা। তখন আমি সদ্য প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়েছি। পিঠে বই-স্লেট ঝুলিয়ে প্রতিদিন খালি পায়ে ছুটে যেতাম স্কুলে। ক্লাস শেষ হলে দৌড়ে বাড়ি ফিরে সেগুলো একপাশে ছুঁড়ে রেখে ছুটে যেতাম মাঠে—সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে ডাংগুটি, গোল্লাছুট, নারকেল পাতার বাঁশি বানানো কিংবা সুপারি গাছের খোলের ওপর বসে টানা-টানির খেলায় মেতে উঠতাম। সেই সুপারি গাছের খোল তখন গ্রামের মানুষের জন্য ছিল এক অমূল্য সম্পদ । গৃহস্থের ঘরে কাজে এর ছিলো নানা ব্যবহার—চিকন করে কেটে দড়ি বানিয়ে বাঁশের বেড়া বাঁধা, টুকরি তৈরি, ছনের ছাউনি বাঁধা, কুলা বানানো —এমনকি পায়ের জুতা বানাতেও এর ব্যবহার হতো। আমাদের সময়ে টাকার বড়ই টানাটানি ছিলো। অভাব ছিল যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। নতুন জামা-প্যান্ট বা জুতা কেনার কথা কল্পনাতেও আসতো না। আমার নিজের অবস্থাও ছিল ঠিক তেমন— ছেঁড়া-ফাটা জামা আর খালি পায়ে হাঁটা ছিল জীবনের স্বাভাবিক চিত্র। তবে স্কুলে গিয়ে যখন দেখতাম কিছু ছেলেমেয়ের পায়ে প্লাস্টিকের রঙিন স্যান্ডেল , তখন মন কেমন করে উঠতো। বাড়ি ফিরে কাঁদতাম— “মা, আমাকেও স্যান্ডেল ক...