পোস্টগুলি

নারায়ণগঞ্জ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

“নারায়ণগঞ্জ দুর্গাপূজা ২০২৫: উৎসব, আয়োজন ও আনন্দের মুহূর্ত”

ছবি
  আপনার পোস্টের জন্য শিরোনাম হতে পারে সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট ও আকর্ষণীয়। উদাহরণস্বরূপ: শিরোনাম: “নারায়ণগঞ্জ দুর্গাপূজা ২০২৫: উৎসব, আয়োজন ও আনন্দের মুহূর্ত” এটি স্পষ্টভাবে বিষয় নির্দেশ করে। SEO-ও ভালো হবে কারণ মূল কীওয়ার্ড (“নারায়ণগঞ্জ”, “দুর্গাপূজা ২০২৫”) এতে আছে। আপনি চাইলে আমি একই পোস্টের জন্য সার্চ বিবরণ (Meta Description) এবং লেভেল-ও সাজিয়ে দিতে পারি। ✦ লেখক: নিতাই বাবু আমি সামাজিক, সংস্কৃতি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ভিত্তিক লেখা করি। পাঠকের কল্যাণে সহজভাবে তথ্য উপস্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য। Facebook Twitter WhatsApp LinkedIn TikTok 👁️ এই পোস্টটি পড়েছেন 0 জন

অযত্নে অবহেলায় আজও দাঁড়িয়ে আছে মোগল স্থাপত্য ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ কেল্লা

ছবি
  অযত্নে অবহেলায় আজও দাঁড়িয়ে আছে মোগল স্থাপত্য ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ কেল্লা প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জে রয়েছে মোগল আমলের অনেক স্থাপনা। তার মধ্যে একটি হলো হাজীগঞ্জ দুর্গ বা হাজীগঞ্জ কেল্লা । দুর্গটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১৪.৬৮ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। এটি নারায়ণগঞ্জ থেকে চিটাগাং রোড যেতে মাঝপথে নবীগঞ্জ গুদারাঘাট -এর একটু সামনেই, হাজীগঞ্জ ফায়ার ব্রিগেডের পরেই এই কেল্লার অবস্থান। নারায়ণগঞ্জ সিটির হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক কেল্লাটি আজও দাঁড়িয়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়। একসময় এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ-চিটাগাং রোড ভায়া ডেমড়া পথ ধরে চলতে গেলে এই কেল্লাটি চোখে পড়ে। স্বাধীনতার আগেই কেল্লাটির চারপাশে গড়ে উঠেছিল টিনসেট পাটের গোডাউন , কারণ তখন নারায়ণগঞ্জ ছিল পাট ও বস্ত্রশিল্পের অন্যতম কেন্দ্র। বর্তমানে যদিও পাটের সেই সুনাম নেই, তবুও গোডাউনগুলো এখনও সচল। কেল্লাটি আজ এই সব গুদামের আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে। কেল্লার ইতিহাস ও স্থাপত্য জানা যায়, ঢাকা শহরকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সপ্তদশ শতকের শুরুতে এই কেল্লাটি ন...

শীতলক্ষ্যার বুকে ভেসে থাকা এক ঐতিহ্য

ছবি
  শীতলক্ষ্যার বুকে ভেসে থাকা এক ঐতিহ্য শীতলক্ষ্যা একটি নদীর নাম। যা নারায়ণগঞ্জ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে, যুগ যুগ ধরে। স্বচ্ছ পানির জন্য সুনাম অর্জনকারী শীতলক্ষ্যা নদী বঙ্গদেশের সবার কাছেই পরিচিত। স্বচ্ছ পানির সুনাম বর্তমানে না থাকলেও, নদীর দুই পাড় নিয়ে সুখ্যাতি আজও অখ্যাত রয়ে গেছে। শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে রয়েছে প্রচুর মিল-ইন্ডাস্ট্রি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আরও অনেক কিছু। এসব নিয়ে লিখে শেষ করা যায় না। তাই আর কিছু লিখলামও না। লিখতে চাই শীতলক্ষ্যা নদীর পানির উপরে ভেসে থাকা বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি’র ভাসমান ডকইয়ার্ড নিয়ে। এই ভাসমান ডকইয়ার্ডটিও প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের একটা ঐতিহ্য । যা যুগ যুগ ধরে শীতলক্ষ্যা নদী, আর নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য বহন করে চলছে। এই ভাসমান ডকইয়ার্ডটি পানিতে চলাচলকারী জাহাজ, লঞ্চ-ইস্টিমার, কার্গো, ট্রলারসহ আরও বহুরকম নৌযান মেরামত করার সময়োপযোগী স্থান। আমরা সবাই সচরাচর দেখি ডকইয়ার্ড থাকে নদীর পাড় ঘেঁষা খোলা জায়গায়। কিন্তু এটি নদীর পাড় ঘেঁষা কোনও খোলা জায়গা বা ভূমিতে নয়! এটি হলো পানির উপরে ভাসমান (ভেসে থাকা) অবস্থায়। নদীতে চলাচলকারী নৌযান মেরাম...

নারায়ণগঞ্জের কিছু আঞ্চলিক ভাষার শব্দ

ছবি
নারায়ণগঞ্জের কিছু আঞ্চলিক ভাষা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ রয়েছে। ৮টি বিভাগে রয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার গ্রাম । এই ৬৮ হাজার গ্রামের মানুষ কিন্তু শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলে না। তবে এটা ঠিক যে, তারা শুদ্ধ ভাষা বলতে পারে না — এমন না। অনেকেই পারে, জানে, বোঝে। তবুও মানুষ সাধারণত যেই অঞ্চলের, সে সেই নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কারণ এই ভাষার মধ্যে লুকিয়ে থাকে তার মাটির টান আর মায়ের ভাষার টান । যেমন— চট্টগ্রামের মানুষ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। নোয়াখালীর মানুষ নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। আবার বরিশালের মানুষ বরিশালের টানে কথা বলে। যদিও আমার জন্ম নোয়াখালীতে , তবুও আমি নিজেকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ বলে দাবি করি। কারণ আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি এই নারায়ণগঞ্জ শহরেই। তাই এখন আমি নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেই বেশি পছন্দ করি। বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা আমি জানি এবং বলতে পারি। কিন্তু আজ আমি অন্য অঞ্চলের ভাষা নয়, নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষার কিছু জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত শব্দ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। তো চলুন, দেরি না করে আমরা শ...

শীতলক্ষ্যা এখন জীবিত থেকেও মৃত

ছবি
শীতলক্ষ্যা এখন জীবিত থেকেও মৃত শীতলক্ষ্যা এখন জীবিত থেকেও মৃত, শীতলক্ষ্যার পানি এখন আর কেউ স্পর্শ করে না। শীতলক্ষ্যা বাঁচলে যে নারায়ণগঞ্জবাসী বাঁচবে, তা সবাই জানে, কিন্তু বাঁচানোর উদ্যোগ কারও নেই। তবু শীতলক্ষ্যাকে নিয়ে একটু কান্নাকাটি করতে হয়, কারণ: শীতলক্ষ্যার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক অনেক আগের—স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, যখন আমরা গ্রাম ছেড়ে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণখোলা সংলগ্ন আদর্শ কটন মিলে আসি তখন থেকেই। স্কুলে আসা-যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে মিলের প্রাচীর ঘেঁষা নদীর পাড়ের পরিত্যক্ত ছোট জায়গায় কিছু সবজির চারা রোপণ করতাম, শখের বশে। আদর্শ কটন মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা মিলে আর থাকতে পারিনি। মিল ছেড়ে চলে এসেছি ঠিকই, কিন্তু শীতলক্ষ্যা আমাকে ছাড়েনি। ভাগ্যের টানে যেখানেই গিয়েছি, ঘুরেফিরে আবার এই শীতলক্ষ্যার পাড়েই থাকতে হয়েছে আমাকে—কখনো এ পার, কখনো ও পার। শত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও প্রতিদিন একবার আমি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গিয়ে বসতাম। এখনো আমার সেই নিয়মটা বলবৎ আছে। দূরে থাকি আর কাছে থাকি, শীতলক্ষ্যার সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্কটা কিন্তু ছিন্ন হয়নি। সেই সুসম্পর...

ভুলে থাকা যায় না

ছবি
ভুলে থাকা যায় না লিখেছেন: নিতাই বাবু ১৯৮৪ সালের শুরু। নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা গোয়ালপাড়ায় বড়দার সংসারে থাকতাম মা-সহ। আয়-রোজগার নিয়ে কথাকাটাকাটির পর মা'কে নিয়ে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। নগর খাঁনপুরে হিন্দু ভাড়িওয়ালা শ্যামসুন্দর সাহার বাড়িতে এক ঘর ভাড়া নেই—মাসিক ভাড়া মাত্র ১৫০ টাকা। তখনও আমি অবিবাহিত। চাকরি করি কিল্লার পুলের ফাইন টেক্সটাইল মিলে—বেতন ২০০০ টাকা। মা আর আমি—দুজনের সংসার ভালোভাবেই চলতো। বাসায় ওঠার দিন ছিল শুক্রবার। রিকশায় করে সামান্য মালপত্র নিয়ে এলাম নতুন ঠিকানায়। বাড়ির সামনে পুকুর, আর তার পাশেই রাস্তা ও ভাড়া বাসা। মাল নামানোর সময়ই নজরে পড়লো এক অপার রূপবতী মেয়ের দিকে—গায়ের রং ফর্সা, হাঁটুর নিচ পর্যন্ত চুল, দেবীমূর্তির মতো চেহারা। বারবার আমাদের দিকেই তাকাচ্ছে। আমার সহচর ছিল কানাই লাল—এই এলাকা সম্পর্কে পূর্বপরিচিত। ও-ই বাসা খুঁজে দিয়েছিল। মাল উঠাতে গিয়ে সংকোচ হচ্ছিল—আমাদের গরিবি জিনিসপত্র অন্য ভাড়াটিয়াদের তুলনায় লজ্জাজনক মনে হচ্ছিল। তখনই মেয়েটি এসে বললো, “আপনারা না পারলে আমি সাহায্য করবো?” আমরা না করলেও সে একটি বস্তা হাতে করে ঘরে রেখে এলো। ...

আদমজী জুট মিলের ইতিহাস ও বর্তমান আদমজী ইপিজেড

ছবি
আদমজী জুট মিলের ইতিহাস ও বর্তমান আদমজী ইপিজেড ভূমিকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে আদমজী জুট মিল এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম। এক সময়ের বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাটকল, আদমজী ছিল কেবল একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়—বরং জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। স্বাধীনতার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই মিলের ভূমিকা ছিল অনন্য। প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য: আদমজী পরিবারের উদ্যোগে ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মিল। উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার পাটকে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরি করা এবং এশিয়া মহাদেশে পাটশিল্পে নেতৃত্ব দেওয়া। আদমজী জুট মিল: এক ইতিহাস প্রতিষ্ঠা: ১৯৫০ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শুরু: ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদন প্রথম ইউনিটে ছিল ১৭০০ হেসিয়ান ও ১০০০ সেকিং লুম চাকরি করতেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক এশিয়ায় খ্যাতি ও স্বর্ণযুগ ১৯৬০-৭০ এর দশকে আদমজী জুট মিল এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ পাটকল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। বৈদেশিক রপ্তানিতে এই মিল একাই আনে কোটি কোটি ডলার। ব্রিটেন, তুরস্ক, জার্মানি, জাপান সহ ব...

লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস্‌ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাস ও অতীত বর্তমান প্রেক্ষাপট

ছবি
  লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাস 📜 প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস্‌ উচ্চ বিদ্যালয়: গোদনাইল, নারায়ণগঞ্জ-এর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন নির্বাহী সারসংক্ষেপ: লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস্‌ উচ্চ বিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর ইতিহাস একটি সুদূরপ্রসারী যাত্রার প্রতিফলন, যা একটি তুলাকলের শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে একটি সুপরিচিত উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শুধু তার একাডেমিক কার্যক্রমের জন্যই নয়, বরং এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, জাতীয় জীবনে এর সম্পৃক্ততা এবং আধুনিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্যও উল্লেখযোগ্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিশেষত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে, বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। একসময় এটি একটি বেসরকারি, শিল্প-নির্ভর কল্যাণমূলক উদ্যোগ হিসেবে কাজ শুরু করেছিল, যা পরবর্তীতে জাতীয়করণ এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি শক্তিশালী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় । এট...

আমি ঘৃণিত না কি তুমি?

ছবি
  আমি ঘৃণিত, না কি তুমি? ভূমিকা সমাজের নানা স্তরে অবহেলিত, দুর্বল, দরিদ্র মানুষেরা প্রায়শই কেবলমাত্র জন্মসূত্রে, ধর্মে, পেশায় বা চেহারায় 'ঘৃণিত' হিসেবে চিহ্নিত হন। অথচ তাদের জীবনযাপন, শ্রম ও আত্মত্যাগে সমাজ এগিয়ে চলে। এই কবিতাটি সেইসব প্রান্তিক মানুষের আত্মজিজ্ঞাসা, প্রতিবাদ এবং আত্মসম্মানের এক নিঃশব্দ চিৎকার— যারা বলে, "আমি মানুষ, কিন্তু তবুও কেন সমাজের চোখে অমানুষ?" আমি হিন্দু, আমি নিম্নবর্ণ— তোমার চোখে আমি নোংরা? তুমি কি জানো, বিশ্বাসের নামে তোমার মনটাই কত অন্ধ অন্ধকার? আমি গরিব, ভাত চেয়ে খাই, তুমি ধনী, নিত্য ভোজে মত্ত, আমি রিকশা চালাই, তুমি চড়ো— তবু ঘৃণা শুধু আমার ঠিকানায় জড়ো! আমি চাকরি করি, বেঁচে থাকি, তুমি কর বস, দাও আদেশ, আমার শ্রমে চলে তোর অফিস— তবু আমাকেই বলো ‘পরাধীন’, কেন রে এত নিষ্ঠুর তেজ? আমি বস্তির মানুষ, ঘরের নেই ছাদ, তুমি ফ্ল্যাটে, এসিতে জমে বরফ, আমার ঘামেই গড়ে ওঠে শহর— তবু আমি উদ্বাস্তু, তুমি কি তবে ‘নাগরিক’ সত্যরূপ? আমি সংখ্যালঘু, আমি একা, তোমার সংখ্যায় আমি ক্ষয়, তুমি সংখ্যায় বড়, তবু মানবতায়— তুমি...