পোস্টগুলি

সচেতনতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গাঁজা বা সিদ্ধি: ইতিহাস, উপকার ও ক্ষতি

ছবি
গাঁজা বা সিদ্ধি: ইতিহাস, উপকার ও ক্ষতি গাঁজা গাছের ছবি — শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমিকা গাঁজা বা সিদ্ধি একটি বহু আলোচিত উদ্ভিদজাত নেশাদ্রব্য, যা আমাদের সমাজে নানা কারণে পরিচিত। কেউ এটিকে চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে দেখে, আবার কেউ মাদকদ্রব্য হিসেবে ভয় পায়। যুগে যুগে এটি ধর্মীয়, আয়ুর্বেদিক ও আধুনিক চিকিৎসা—সব ক্ষেত্রেই নানা ভাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। আজ আমরা জানব এর ইতিহাস, উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। গাঁজা বা সিদ্ধির ইতিহাস গাঁজার ব্যবহার প্রাচীন ভারত, চীন, পারস্য এবং মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার বছর আগে শুরু হয়। বৈদিক যুগে হিন্দু ধর্মে শিবের ভক্তরা ভাং (গাঁজাজাত পানীয়) সেবন করতেন। চৈনিক প্রাচীন গ্রন্থেও ক্যানাবিস উদ্ভিদের চিকিৎসা ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষে গাঁজার উপর কর বসানো হতো এবং অনুমোদিত বিক্রি চলত। তবে কালের প্রবাহে এটি নেশাদ্রব্য হিসেবে কুখ্যাত হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে অনেক দেশে নিষিদ্ধ মাদকের তালিকায় রয়েছে। গাঁজার উপকারিতা ব্যথা উপশম: গাঁজার উপাদান CBD দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ...

মানবতার মন্দির

ছবি
  🕊️ মানবতার মন্দির লিখেছেন: নিতাই বাবু 🌼 ভূমিকা আজকের সমাজে আমরা ধর্মীয় আচারে যতটা উৎসাহী, মানবিক দায়িত্ববোধে ততটাই উদাসীন। মন্দিরে দান করি, প্রার্থনায় মাথা নত করি, কিন্তু পাশের ক্ষুধার্ত মানুষটির দিকে তাকাই না। এই কবিতাটি সেই বাস্তবতাকে সামনে আনে—যেখানে ভগবানের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে মানবতা। ✍️ কবিতা: মানবতার মন্দির মন্দিরের দান বাক্সে ফেলে টাকা শতশত, ধনী-গরিব মিলেমিশে ভক্তবৃন্দ আছে যত। ভক্তিভরে করে দান, হাত জোড়ে মাথা নত, দেয় না তাদের, যারা ক্ষুধায় কান্নায় থাকে রত। ঘণ্টাধ্বনি, প্রদীপ জ্বলে, ধূপে ভরে চারদিক, মনে রাখে না কেউ পাশের ক্ষুধার্ত শিশুটিক। ভগবানের নাম জপে, পূজার ফুলে পূর্ণ থাল, দেয় না একমুঠো ভাত, যার ঘরে নেই আজকাল। মন্দিরে যে স্বর্ণ মুকুট, সেই মুকুটে কী দাম? যদি পথে মরে শিশু, পত্রিকায় উঠে না তার নাম। ভক্তি যদি হয় সত্য, তবে সে তো হবে প্রীতি, মানবসেবাই ধর্ম, সেখানেই থাকে ঋতি। ভগবান কি চায় ধূপ-ধুনো, সাজসজ্জা আর ধ্বনি? নাকি চায় সে সহানুভূতি—প্রেমের অমলবাণী? মন্দির নয়, মানব হৃদয় হোক তোমার পূজার স্থান, ভালোবাসা দাও সবারে, তবেই হবে প...

চারদিকে যুদ্ধের ডামাডোল

ছবি
  যুদ্ধ থামবে কবে? ✍️ ভূমিকা যুদ্ধ—শব্দটি শুনতেই যেন গা শিউরে ওঠে। ধ্বংস, কান্না, হাহাকার আর অনিশ্চয়তা—এই শব্দের পেছনে লুকিয়ে থাকে হাজারো বেদনার গল্প। চারপাশে যখন যুদ্ধের ডামাডোল, তখন মানবিক অনুভূতিরা মুখ লুকায় ধ্বংসস্তূপে। এই কবিতাটি লেখা হয়েছে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলিকে স্মরণ করে— যেখানে শিশুর কান্না, মায়ের চোখের শূন্যতা আর বৃদ্ধের নির্বাক হতবাক চাহনি একসাথে মিলিয়ে দেয় এক বেদনার বার্তা। যুদ্ধ যুদ্ধ, চারদিকে শোক, জ্বলছে নগর, পুড়ছে লোক— আকাশ কাঁদে, মাটি নড়ে, নিঃশব্দ গ্রামে কান্না পড়ে। শিশুর চোখে ভয়ের ছবি, মায়ের বুকে আগুন থাবি। না আছে আশা, না আছে শান্তি, চারিদিকে মৃতের ভ্রান্তি। জানেনা কেউ— থামবে কবে, এই রক্তধারা গঙ্গা হবে? ছেলে জানে না, না জানে বৃদ্ধ, হারায় প্রতিদিন হাজার চিত্ত। যোয়ান গেছে, ফেরা নাই, পথে পথে শুধু পঁচা নিস্তাই। কে দেবে শান্তির একটুকু গান? কে রাখবে রক্তে ভেজা প্রাণ? যুদ্ধ থামুক, এই কামনা, ভালোবাসা হোক জীবনের মানা...