জীবনের গল্প-৪
জীবনের গল্প-৩ শেষাংশ↓↓
জীবনের গল্প-৪ আরম্ভ↓↓
রাত ভোর হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে প্রতি দিনের মতো ঘরে বসে স্কুলের পড়া শেষ করি। তারপর, কিছু খেয়ে বই নিয়ে স্কুলের চলে যাই। বই কিনতে গিয়ে সিনেমা দেখে বাসায় আসার পরও আমার কাছে ৭ টাকার মতন অবশিষ্ট ছিলো।
ওই টাকা অতি গোপনে আর যত্নে সাথে নিতে স্কুলে যাই। আবার সাথে করে নিয়ে আসি। নিজেও খরচ করি না, মায়ের কাছেও দেই না, বড় দিদিদের কাছেও না। উদ্দেশ্য ২০টাকা মেলাতে পারলে মায়ের কাছে দিয়ে দিবো, বাবাকে দিয়ে দিতে।
এদিকে প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে ঘনিষ্ঠ ক্লাসমেট যে-ক’জন ছিল, ওদের সাথে পুরান ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বই-সহ বাদ থাকা বইগুলো কারোর কাছে পাবো কিনা আলাপও করি। উদ্দেশ্য যদি কারোর কাছে বাদ থাকা বইগুলো পাওয়া যায়, তাহলে আর বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হবে না, অল্প টাকায় হয়ে যাবো।
এভাবে নিজেও বাদ থাকা বইগুলো সংগ্রহ করার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, কিন্তু পাইনি। যেই বইগুলো আমার কাছে ছিল না, সেই বইয়ের পড়া ক্লাসের ঘনিষ্ঠ ছাত্রদের বই থেকে কিছু কিছু করে রাবখাতায় লিখে রাখতাম। বাসায় এসে সেগুলো পড়তাম।
এভাবেই চলতে থাকলো আমার স্কুলের ক্লাস। একসময় প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও ঘনিয়ে আসতে লাগলো। পড়ে গেলাম দুশ্চিন্তায়! আমি শিওর ছিলাম পরীক্ষা দিলে আমি পাস করতে পারবো না, একশো পার্সেন্ট ফেল! তারপরও নিজের চেষ্টা নিজেই চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
এরমধ্যেই একদিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর বাসায় আসার পথেই আদর্শ কটন মিলের ডেলি লেবারদের সাথে দেখা। তাদের জিজ্ঞেস করলাম, “আজকে সন্ধ্যার পর কোনও কাজ আছে কিনা?“
একজন বললো, “আছে, কয়েক হাজার ইট নৌকা থেকে নামাতে হবে। টাকা নগদ নগদ। মানুষ কম দেখে এখনো মিলের সরদারের কাছে কেউ গিয়ে আলাপ করিনি। যে-কয়জন আছি তাতে নৌকা থেকে এতগুলো ইট নামানো সম্ভব হবে না। তুই যদি কাজ করতে চাস, তাহলে বাসায় গিয়ে খেয়ে-দেয়ে তাড়াতাড়ি করে মিলের গেইটে চলে আয়, আমরা সবাই মিলের সরদারের খোঁজে গেইটের সামনেই আছি।“
ওদের কথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কোনরকম দু’চারটা খেয়ে, বন্ধুদের সাথে খেলা-ধুলার চিন্তা বাদ দিয়ে সোজা মিল গেইটে গিয়ে হাজির হলাম। ওরা ছিল ছয়জন। আমি-সহ হলাম সাতজন।
নৌকা ভর্তি ইট। মিলের সরদারের সাথে কথা হলো, সব ইট নৌকা থেকে নামিয়ে মিলের ভেতরে জায়গামতো খামাল দিয়ে রাখতে হবে। আমরা রাজি হলাম, তা-ই করে দিবো। টাকা দিতে হবে ১৫০ টাকা।
সরদার এতে রাজি হলো না। সরদার ১৪০ টাকা দিতে রাজি। আমরা তাতে রাজি হয়ে নৌকা থেকে ইট নামানোর জন্য যার যার মতো প্রস্তুতি নিয়ে নৌকার উপরে চলে গেলাম।
সাথের লেবারদের চেয়ে আমি বয়সে সবার ছোট ছিলাম বলে, ওরা আমাকে সবসময় হালকা-পাতলা কাজ দিয়ে রাখতো। ওইদিনও আমার কাজ ছিল অন্য লেবারদের মাথায় ইট সাজিয়ে দেওয়া। ওরা সবাই আদর্শ কটন মিলের শ্রমিক কলোনিতে থাকা শ্রমিকদেরই ছেলে-পেলে। মিলের ভেতরেই থাকতো।
কিন্তু লেখাপড়া করতো না। সারাদিন ঘুরে-ফিরে সময় কাটাতো। নানারকম কাজ করে নিজেদের পকেট খরচ জোগাড় করতো। আদর্শ কটন মিলের ভেতরে স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর থেকে এমনিতেই ওরা আমাকে কাছে ডাকতো। ওরা সবাই বিড়ি-সিগারেট টানতো। চা-পানও খেতো। কিন্তু আমি তখনো এসবের ধারেকাছেও ছিলাম না।
ওরা আরও অনেক আগে থেকে আমাকে মাঝেমধ্যে বলতো, “আরে বেডা, লেখাপড়া কইরা কী অইবো? আমাগো লগে থাইক্কা কাম কর! নিজের পকটে টেকা থাকলে হগলতে জিগাইবো, ডাকবো।”
কিন্তু আমি আগে ওদের কথায় কান দিতাম না, নিজের লেখাপড়া নিয়েই টেনশনে থাকতাম। কিন্তু সংসারের অভাব অনটনের জন্য পেরে উঠতে পারছিলাম না। অনেক পরে হলেও শেষমেশ ওদের কথাতে আমার কান দিতেই হলো।
তাই ওইদিন গৌরাঙ্গ কাকার হাতে মার খাওয়ার পর থেকে ২০ টাকা মেলানোর জন্যই আমি ওদের পিছনে ঘুরঘুর করি। টুকটাক কাজও করি। ওইদিনের কাজটা হলো অন্যসব দিনের চেয়ে বড় কাজ এবং বেশি খাটুনির কাজ! পুরো একটা বড় নৌকা থেকে অনেকগুলো ইট নামাতে হচ্ছে।
একসময় নৌকা ভর্তি ইটগুলো আমরা খালি করে ফেললাম। রাত তখন আনুমানিক ১০ টার মতো হবে। আমি সেদিন টাকা পেলাম ২০ টাকা, ওরা নিয়ে নিলো ১২০টাকা।
আমি ২০ টাকা হাতে পেয়ে মনের আনন্দে বাসায় গিয়ে মায়ের হাতে ২০টাকা দিলাম। মা ২০ টাকা হাতে পেয়ে হা করে আমার দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে থেকে বললো, “এতো টাকা এত রাতে কোথায় পেলি? চুরি করেছিস নাকি?” আমি হেসে বললাম, “না মা, চুরি করিনি। নৌকা থেকে মিলের ইট নামিয়েছি।“
বাবা তখন বাসায় ছিল। আমার কথা শুনে বাবা আমার সামনে এসে বললো, “তাহলে তো তোর আর লেখাপড়া হবে না। তোর মন এখন টাকার দিকে চলে গেছে।”
বাবার কথার উপর মা আবার বলে উঠলো, “টাকার দিকে মন যাবে না তো কোথায় যাবে? ওর বই নেই, খাতা নেই, কলম নেই, স্কুলের নামমাত্র বেতন দিতে পারি না। সামনে ওর পরীক্ষা। তাহলে ছেলে কী করবে? ও ঠিকই করেছে। এখন থেকে ওর নিজের খরচ নিজেই জোগার করে নিতে পারবে। ওর পেছনে আর কারোর দুই টাকা খরচ করতে হবে না।”
এরপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, “যা গামছাটা নিয়ে তাড়াতাড়ি গাঙ থেকে স্নান করে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে থাক। বাবার কথার উত্তর আমার আর দিতে হয়নি। যা বলার মা-ই বলে দিয়েছে। বাবা চুপ করে ঘরে গিয়ে শুইয়ে রইল। আমি গামছা কাঁধে নিয়ে সোজা শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাটে স্নান করতে চলে গেলাম।
এদিকে মা তাড়াতাড়ি গৌরাঙ্গ কাকার বাসা থেকে একবাটি ভাত চেয়ে এনে আমার জন্য রেডি করে রেখেছিল। তারপর মা আমাকে দুটো রুটি-সহ চেয়ে আনা ভাতগুলো সামনে দিলো।
আমার মা সেদিন বুঝতে পেরেছিল যে ছেলে আমার কঠিন খাটুনির কাজ করে এসেছে। এখন ঘরে থাকা এই দুটো রুটিতে আমার ছেলের পেটের এক কোণাও ভরবে না। তাই আমি স্নান করার জন্য ঘরের বাইর হতেই, মা গৌরাঙ্গ কাকার বাসা থেকে ভাত এনে রেখে দিয়েছিল।
ভাত খেতে বসে মাকে আস্তে আস্তে বললাম, “মা, আজ দেখছি রুটি আবার ভাত? রুটিও করেছ, ভাতও রান্না করেছ?“
মা বললো, “আরে না, রুটিই বানিয়ে ছিলাম। তোর জন্য দুটো রুটি রেখেছিলাম। এই কিছুক্ষণ আগে তোর গৌরাঙ্গ কাকার ঘর থেকে একবাটি ভাত হাওলাৎ এনেছি, তুই খা।”
আমি আবার আস্তে আস্তে মাকে বললাম, “মা, বই কিনতে গিয়ে যেই টাকা হারিয়েছি, তা আজ অনেক কষ্ট করে আপনার কাছে এনে দিলাম। এই ২০টাকা বাবাকে দিয়ে দিবেন।“
মা বললো, “তোর বই নেই। আগে বই কিনে আনবি।” আমি বললাম, “মা, আর দু-এক দিন কাজ করতে পারলে বই কেনার টাকা আমার এমনিতেই হয়ে যাবে। আপনি এই টাকা বাবাকে দিয়ে দিবেন।“
আমার কথা শুনে মা বললো, “আচ্ছা ঠিক আছে, আগে তুই ভাত খেয়ে নে।”
রুটি আর ভাত খেয়ে নিজের শোবার জায়গায় গিয়ে চুপচাপ শুইয়ে রইলাম।
পরদিন সকালে ঠিক টাইমে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে যখন ঘরে বই নিয়ে পড়তে বসলাম। আমার বড় মায়াদি সকালের খাবার নিয়ে আমার সামনে রাখলো। খাবার রেখে রাতে মায়ের কাছে দেওয়া ২০টাকা আমার পড়ার টেবিলের উপর রেখে বললো, “বাবা বলেছে এই টাকা দিয়ে বই কিনে আনতে। নাহলে বাবা রাগ করবে।”
আমি আর দিদিকে কিছুই বললাম না, দিদির রাখা ২০টাকা বইয়ের ভেতরে রেখে দিলাম। স্কুলের সময় হলে স্কুলে চলে গেলাম। সাথের ক্লাসমেটদের সাথে নতুন বই কেনার ব্যাপারে আলাপ করলাম।
ওরা বললো, “নতুন বই কিনতে হলে নারায়ণগঞ্জ যেতে হবে না। ২নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলের বাজারেই পাওয়া যাবে।”
নিশ্চিত হলাম! স্কুল ছুটির পর একজন ক্লাসমেটকে অনুরোধ করে বললাম, “আমার সাথে একটু ২নং ঢাকেশ্বরী বাজারে যেতে হবে।”
ও রাজি হয়ে বললো, “চল যাই।”
ওমনি দেরি আর না করে গুদারা নৌকা করে নদী পার হলাম। দুইজনের গুদারা ভাড়া পাঁচ পয়সা করে দশ পয়সা আমি দিবো মনে করে ভাড়া আদায়কারীর সামনে গিয়ে এক টাকার একটা নেট দিতে গেলে ভাড়া আদায়কারী আর রাখলো না।বললো, “যাও!”
কিছুই বোঝার চেষ্টা না করে দশ পয়সা বেঁচে গিয়েছে, সেই আনন্দ মনে নিয়ে দুইজনে হাঁটতে হাঁটতে ২নং ঢাকেশ্বরী বাজারে চলে গেলাম, বইয়ের দোকানে।
আমার সাথে টাকা ছিল ২৬ টাকার মতন। চারটা নতুন বইয়ের দাম হয়ে গেল ২৭ টাকার মতো। কিন্তু আমার কাছে আছে এক টাকা কম! সাথে যাওয়া স্কুলের বন্ধুটি বললো, “তোর কাছে কত আছে?”
বললাম, “এক টাকা কম আছে।“
ওমনি লাইব্রেরির মালিক বললো, “দাও দাও, এক টাকা আর দিতে হবে না, বই নিয়ে যাও।”
২৭ টাকা দোকানদারকে দিয়ে বইগুলো নিয়ে নিলাম। সাথের স্কুল বন্ধুটাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ভাই তোর কাছে যাবার গুদারা ভাড়া আছে?“
ও বললো, “আমাদের গুদারা ভাড়া প্রতিদিন দিতে হয় না। আমরা মাসে একবার দেই। তাও সেটা দেওয়া হয় মিল থেকে। দেখলি না, আসার সময় যে গুদারা ভাড়া নেয়নি!“
ওর কথা শুনে চিন্তামুক্ত হয়ে দুইজনে আবার নদী পার হলাম। ওকে অনেকখানি পথ পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম। আমি নতুন বই সাথে করে বাসায় পেলাম। বাসায় গিয়ে আগেই নতুন বইগুলো মাকে বড় দিদি ও বৌদিকে দেখালাম। তারা বই দেখে খুশি হলো।
মা জিজ্ঞেস করলো, “বইয়ের দাম কত?” আমি বললাম, “বেশি না, ২৭ টাকা।“
মা বললো, “দিলাম ২০ টাকা, বইয়ের দাম ২৭ টাকা। বাদবাকি টাকা কোথায় পেলি?”
বললাম “আমার কাছে সেদিনের ৭/৮ টাকা ছিল। ওই টাকা মিলিয়ে সব বই একবারেই কিনে আনলাম। আমার আর বইয়ের চিন্তা করতে হবে না।“
আমার কথা শুনে বাসার সবাই খুশি হয়ে গেলো। আমি নতুন বই পড়ার ইচ্ছায় তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে যা ছিলো তা খেয়ে বই পড়তে বসে পড়লাম। সেদিন সন্ধ্যার পরও বাসা থেকে আর বের হইনি। অনেক রাত পর্যন্ত পড়ার টেবিলেই ছিলাম। কারণ ক’দিন পরই পরীক্ষা।
তাই একটু মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া-সহ স্কুলে যাওয়া-আসাও ঠিকমতো করছি। যাদের সাথে মাঝেমধ্যে কাজ করি, ওদের সাথে আমার আগেরেই কথা; বিকালবেলা যদি কোনও কাজ থাকে, তাহলে যেন দয়া করে আমাকে কাজ দেয়।
তাই সময় সময় ওরা বিকালবেলা কোনও কাজ পেলে, লোকের টান থাকলেই আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যেতো। আমি ওদের সাথে কাজ করতাম। যা কয়টা টাকা পেতাম মায়ের কাছে এনে দিতাম।
এভাবে চলতে চলতে একসময় পরীক্ষার দিনতারিখ নির্ধারণ হলো। এক এক করে সব পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্ট বের হলো। স্কুলের নোটিশ বোর্ডের সবার নিচে আমার নাম দেখলাম। মানে টেনেটুনে পাস করলাম।
সবার নিচে নিজের নাম দেখে আমি একটুও মন খারাপ করিনি, বরং খুশি হয়েছি। এর ক’দিন পরই আমার বাবা দুপুরবেলা উনার কর্মক্ষেত্রে অ্যাক্সিডেন্টে করলো। বাবা কাজ করতো শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড় চিত্তরঞ্জন কটন মিলের আউট অফ সাইড ক্যালেন্ডারে। বাবার বাম হাতের চারটে আঙুল থেঁতলে গিয়েছিল।
দুর্ঘটনা ঘটার পরপরই একদিকে তাড়াতাড়ি করে বাবাকে মিলের গাড়ি দিয়ে নিয়ে যায়, নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল। আরেকদিকে লোক মারফত খবর পাঠায় আদর্শ কটন মিলের ভেতরে আমাদের বাসায়।
আমি ছিলাম স্কুলে। বড় দাদা ছিল আদর্শ কটন মিলে নিজের কাছে। খবর পেয়ে আমার মা বড় দুই বোন বৌদি কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে গিয়ে বড় দাদাকে খবর দিলো। বড় দাদা গেইটপাস নিয়ে তাড়াতাড়ি মিল থেকে বের হয়ে মাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।
আমি স্কুল থেকে আসার পথেই লোকমুখে বাবার অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে দৌড়ে বাসায় এসে দেখি, আমার বড় দিদি দুইজন বৌদি, ভাতিজি-ভাতিজা, বাসার সামনে বসে বসে কাঁদছে। আমাকে দেখে তাদের কান্না আরও বেড়ে গেলো। তাদের সাথে আমিও হাউমাউ করে কতক্ষণ কেঁদেছিলাম।
ওইদিন সবার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ! বড়দাদা আর মা বাবাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে প্রথমে চিত্তরঞ্জন কটন মিলে আনে। তারপর বাসায় আসলো রাত দশটার সময়। বাবার অবস্থা তখন বেশি ভালো ছিল না। ওইদিন বাসার সবাই মিলে সারারাত বাবার পাশে বসে রাত পার করেছিলাম।
চলবে...
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
nitaibabunitaibabu@gmail.com