জীবনের গল্প-২২

                    শ্রী নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু)

জীবনের গল্প-২১ শেষাংশ↓↓

জীবনের গল্প-২২ আরম্ভ↓↓
বনগাঁ রেলস্টেশন থেকে খুব ভয়ে ভয়েই হেঁটে যাচ্ছিলাম! ভয় হচ্ছিল এই কারণে, যদি রেলস্টেশনের গেইটে থাকা গার্ড আমাকে দেখে কিছু জিজ্ঞেস করে? আর যদি রেলস্টেশনের বাইরে ভারতের বাটপারা আমার কষ্টের টাকা ছিনিয়ে নেয়! তাহলে কানাই তো রেলস্টেশনের ভেতরে। আমার ওইরকম বিপদ থেকে কানাই আমাকে কীভাবে রক্ষা করবে? এসব বাজে চিন্তা মাথায় নিয়ে একসময় রেলস্টেশনের বাইরে গেলাম।

অবশ্য রেলস্টেশনের বাইরে যাবার আগে কানাই আমাকে বলেছিল, “বর্ডার থেকে যেই টাকা বদল করে দিয়েছি, সেই টাকা থেকে কিছু টাকা আলাদা করে রাখ। সব টাকা বাইর করার দরকার নেই। কোনও বাটপার দেখলে তোর পেছলে লাগবে। ভারতের বাড়ি, টাকার খুব দাম!”

আমি কানাইর কথামত কিছু টাকা সামনের পকেটে রাখলাম। আর বাদবাকি টাকা প্যান্টের ভেতরের পকেটে রাখলাম। ভগবানকে ডাকতে ডাকতে গেইট থেকে একটু দূরে থাকা একটা চা-বিস্কুটের দোকানে গেলাম। মাত্র  চা-বিস্কুট খাচ্ছিলাম। 

এমন সময় ট্রেনের হুইসেল শোনা যাচ্ছিলো। ট্রেনের হুইসেল শুনে আমার বুকের ভেতরে কামড়া-কামড়ি শুরু করেছিলো। কখন আমি স্টেশনের ভেতরে যাব, সেই চিন্তায় আমি অস্থির! ঝট-পট দোকানদারকে চা-বিস্কুটের দাম দিয়ে দৌড়ে চলে গিয়েছিলাম স্টেশনের ভেতরে। 

ভেতরে যাবার পর কানাই জিজ্ঞেস করলো, “কী খেয়েছিস? এতো ঝট-পট চলে এলি যে?”
কানাইর কথা শুনে আমি বললাম, “আরে ভাই, আমিতো ট্রেনের হুইসেল শুনেই চলে এলাম। তুই না একবার বলেছিস– ইলেক্ট্রিক ট্রেন, হুইসেল দিতে দেরি ছুটতে দেরি নেই! সেই কথায় আমি কোনোরকম খেয়ে দৌড়ে চলে এলাম। সিগারেট টানার সময় পাইনি।”

কানাই হেসে বলল, “ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরিয়ে সামনে নিয়ে লাগাবে। এই জন্যই হুইসেল দিয়েছিল। ইঞ্জিন ঘুরিয়ে লাগানোর পর ট্রেন ছাড়বে। ট্রেন ছাড়ার আগে মাইকেও বলে দিবে। আর মাইকে বলা কথাগুলো বাইরে থেকেও শোনা যাবে। এখন চল, ট্রেনে ওঠে সবাই বসে পড়ি।”

আমি তখন হাঁফাতে হাঁফাতে বললাম, “ওহ-হো, এই খবর? আমিতো মনে করেছিলাম ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে! তাই চা-বিস্কুট ফেলে রেখে চলে এলাম। চল চল ট্রেনে উঠে বসে পড়ি।”

তারপর সবাই হাসতে হাসতে কানাইর দু’বোন-সহ ট্রেনে উঠে বসলাম। আমি এর আগেও নাম শুনেছিলাম ইলেক্ট্রিক ট্রেন। কিন্তু কোনও দিন চড়িনি। এই ট্রেন আমাদের দেশের সাধারণ ডিজেল চালিত ট্রেনের মতনই। কিন্তু বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। যা ১৯০০ সালের প্রথমদিকে ভারতবর্ষে আবির্ভাব হয়েছিল। 

এর আগে একসময় পাথর কয়লা দ্বারা এই রেলগাড়ি চালানো হতো। এতে যেমন ছিলো ব্যয়বহুল খরচ, তেমন হতো আবার পরিবেশ দূষণ। পরিবেশ দূষণের কারণ হলো, এই কয়লা চালিত রেলগাড়ি চলাচলের সময় রেলগাড়ির ইঞ্জিন থেকে প্রচুর পরিমানে সাদা-কালো ধুয়া বের হতো। 

এতে রেললাইনের আশে-পাশে থাকা গাছগাছালি-সহ স্থানীয় কৃষকদের ফসলী জমির ফসলের ব্যপক ক্ষতি হতো। একসময় পরিবেশবাদীরা পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে রেলগাড়ির ধূয়াকে দায়ী করেছিল। 

তারা মতপ্রকাশ করেছিল, “পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হলে, ইঞ্জিন থেকে বাইর হওয়া ধূয়া বন্ধ করা জরুরি।” তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আবিষ্কার করা হয় ডিজেল চালিত রেল ইঞ্জিন। এতেও খরচ তেমন বাঁচাতে পারেনি! আবার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রেলের কালো ধূয়াও তেমন বন্ধ করতে পারছিল না। এরপর অনেক বছর চেষ্টার বিনিময়ে তৈরি করা হয়, বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন।

তবে তখনও বিশাল ভারতে বৈদ্যুতিক ট্রেনের পাশা-পাশি ডিজেল চালিত ইঞ্জিনও অনেক ছিলো। ছিলো টু-ইন-ওয়ান সিস্টেম ট্রেন ইঞ্জিন। মানে একটা ট্রেন ইঞ্জিনে ডিজেল ও বিদ্যুৎ দুটোই থাকতো। আরও সহজ করে বললে বলা যেতে পারে– একটা ট্রেন ইঞ্জিন ডিজেলেও চলতো, আবার বিদ্যুতেও চালানো যেতো। এই ইঞ্জিনগুলো দূরপাল্লায় যাতায়াতের ট্রেনগুলোতেই বেশি ব্যবহার করা হয়। 

যাইহোক, আমার ওই প্রথমই বৈদ্যুতিক ট্রেনে চড়া। ট্রেনের বগিগুলো অনেক চওড়া! দুইপাশে বসার লম্বা টেবিল। মাঝখানে বেশখানিকটা খালি জায়গা। খালি জায়গার উপরে আছে সারি সারি হাতা। ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীগণ এই হাতায় ধরেই গন্তব্যে পৌঁছায়। 

আমরা যেই ট্রেনে চড়ে যাচ্ছিলাম, এটি চিল বনগাঁ টু শিয়ালদা। তা-ও আবার ওই রুটে রাতের জন্য ছিলো শেষ ট্রেন। তাই যাত্রীও ছিলো সীমিত। পুরো বগিতে কানাইর দু’বোন-সহ আমরা যাত্রী ছিলাম, ৭/৮ জনের মতো। ট্রেনের হুইসেল যখন শোনা যাচ্ছিলো, তখন আমি ট্রেনের টেবিল সিটে বসে বসে ভাবতেছিলাম, এবার হয়ত ট্রেন ছাড়ছে! ঠিক তা-ই হয়েছিলো। হুইসেল দেওয়ার সাথে সাথে ট্রেন ছুটে চললো।

বাংলাদেশর ডিজেল ট্রেনও স্টেশন থেকে ছাড়ার আগে হুইসেল দেয়। কিন্তু ট্রেনের হুইসেল শুনেও দৌড়ে এসে  ট্রেনে ওঠা সম্ভব হয়। ভারতের বৈদ্যুতিক ট্রেনের বেলায় তা-আর সম্ভব হয় না। হুইসেল দেওয়ার সাথে সাথেই শোঁ!  মানে, ট্রেন আর দেখা যাবে না। 

ট্রেন চলছে দ্রুতগতিতে! আমি বসা কানাইর পাশে। কানাইর  দু’বোন সিটের এককোণে বসা। ট্রেন অনেকক্ষণ চলার পর নাম না জানা একটা স্টেশনে থামল। ট্রেন ছাড়ার আগে আমাদের বগিতে তিনজন ফেরিওয়ালা উঠেলো। 

একজন বাদাম নিয়ে। আরেকজন আপেল, আরেকজন চানাচুর নিয়ে। কানাই ওর দু’বোনকে জিজ্ঞেস করলো, “এই তোরা কি বাদাম খাবি? না আপেল খাবি?«
দু’বোন বললো, “বাদাম খাব।”
আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “তুই কিছু খাবি?”
বললাম, “এখন কিছু খাব না।”

ওরা তিনজনই বাদাম কিনে খাচ্ছে। মুহূর্তেই আমার মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে গেলো। মনটা খারাপ করেই একা একা বসে অনেককিছুই ভাবতে লাগলাম! আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪০০ বঙ্গাব্দ। আমার বৌ বাচ্চা-কাচ্চা সবাই বাংলাদেশে। আমি কী করলাম! ওরাই-বা-কী করবে? আমার চিন্তার যেন শেষ নেই! কেন আসলাম! কোথায় যাবো!  কী করবো! 

এমন হাজার প্রশ্ন মনের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছিলাম না। চিন্তায় আমার দেহ-মন দুটোই যেন ভারী হয়ে যাচ্ছে। ভাবতে লাগলাম বার-বার!

ভাবনার এক ফাঁকে কানাইকে জিজ্ঞেস করলাম, “কানাই, আমরা কোথায় গিয়ে নামবো?”
কানাই বলল, “আমরা এখন প্রথমে দমদম যাব। ওখানে আমার এক বন্ধু থাকে। তার বাসায় আজকের রাতটা থাকব। কাল সকালে আবার ট্রেনে করে যাব শিয়ালদা। এই গাড়িতে করে যদি শিয়ালদা যাই, তবে রাত হয়ে যাবে প্রায় তিনটে। এতো রাতে দু’বোনকে সাথে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। সমস্যাও  হতে পারে। তাই আজ রাতটা দমদম বন্ধুর বাসাই থাকব।” 
আমি বললাম, “এখন তো রাত ১১টার মতো বাজে। দমদম পৌঁছতে কয়টা বাজবে?”
কানাই বললো, “রাত ১২টার মতো বাজতে পারে।”

কানাইর কথাই ঠিক হলো। রাত ১২টা দশমিনিটের সময় ট্রেন দমদম পৌঁছাল। দু’বোনকে নিয়ে আমরা ট্রেন থেকে নামলাম। তখন দমদম স্টেশনটা নিরব নিস্তব্ধ! কোনও মানুষজন নেই। ভারতের মানুষ এমনিতেই অনেক হিসাব করে চলে। বাইরে বেশি রাত করে না। সবাই চলে নিজের ধান্ধায়। কী করবে আর কীভাবে চলবে এসব নিয়ে তারা বেশি চিন্তা করে। 

বাংলাদেশের মতো অযথা রাস্তাঘাটে, হাট-বাজারে আড্ডা দেয় না। আর এখন তো রাত ১২ টারও বেশি! তাই দমদম রেলস্টেশনটা একেবারেই জনশূন্য। ট্রেন থেকে যে-কয়জন যাত্রী নামল, সেই ক'জন মানুষও ক্ষণিকের জন্য। যাত্রীরা যার-যার গন্তব্যে চলে গেলে স্টেশনে আর কোনও মানুষই থাকবে না বলে আমার মনে হচ্ছিলো।

সবাই স্টেশনের ভেতর থেকে বাইরে গেলাম। আমি এদিক-ওদিক দেখলাম, কোনও চা-দোকান আছে কি না। নেই, কোথাও কোনও চা-দোকান এতো রাতে খোলা নেই। নেই কোনও রিকশা বা ভ্যানগাড়িও। দমদম স্টেশন থেকে কানাইর বন্ধুর বাড়ির দূরত্ব প্রায়ই দুই কিলোমিটারের পথ। 

সাথে তিন-চারটা বড়-বড় ব্যাগ। সেই সন্ধ্যার পর থেকেই টেনশন আর হাঁটা। আমার শরীর একরকম ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কিছু বলতেও পারছি না যে, আমি খুবই ক্লান্ত অনুভব করছি। কী আর করা! দুই কিলোমিটার পথ খুব কষ্ট করে হেঁটে, কানাইর বন্ধুর বাসায় পৌঁছালাম। 

ভারতের বাড়ি। হিসেবি মানুষের দেশ। ভাই আর বন্ধু, অসময়ে কেউ কারোর জন্য মাথা ঘামায় না। নিজের আপন বোনও ভাইকে দুইদিন জায়গা দিতে চায় না। কোনও লোকের বাড়িতে একবেলা খাবার খেতে দিলেও পরের বেলাই হিসাব কষতে শুরু করে।

কানাইর বন্ধুর বাড়ির গেইটের সামনে গিয়ে সবাই দাঁড়ালাম। কানাইর বন্ধুটির নাম, প্রদীপ। কানাই বন্ধুর নাম ধরেই অনেক ডাকতে লাগলো! কারোরই সাড়াশব্দ নেই। অনেকক্ষণ ডাকার পর, বন্ধুটি চোখ মুছতে মুছতে গেইটে আসলো। 

গেইটে এসেই জিজ্ঞেস করলো, “কী-রে, এতো রাতে?” কানাই বললো, “বাংলাদেশ থেকে এলাম। যেতে হবে শিয়ালদা। কিন্তু শিয়ালদা পৌঁছতে অনেক রাত হয়ে যাবে। তাই তোদের বাড়ি এলাম, রাতটা কাটানোর জন্য। খুব ভোরে উঠে চলে যাবো।”

প্রদীপ জিজ্ঞেস করলো, “সাথে ওরা কারা?”
কানাই আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বললো, “ও আমার বন্ধু। আর ওরা আমার ছোট দুই বোন।”
কথা বলতে বলতেই প্রদীপ বাড়ির গেইট খুলতে লাগলো। এমন সময় প্রদীপের বৃদ্ধ মা সামনে এসে প্রদীপকে জিজ্ঞেস করলো, “প্রদীপ, কে আসলো রে? এতো রাতে কোত্থেকে?”
মায়ের কথায় প্রদীপ জবাব দিল, “মা, আমার বন্ধু কানাই, দু’বোন নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসেছে। আজকের রাতটা আমাদের এখানে থাকবে ওরা। সকাল হলেই চলে যাবে।” প্রদীপের মা বললো, “আয়, ওদের ভেতরে নিয়ে আয়। রাত অনেক হয়েছে। ওরা কী বাইরে থেকে খাওয়া দাওয়া সেরে এসেছে? না আমার কিছু করতে হবে? আমার শরীরটাও ক’দিন যাবত বেশি একটা ভালো যাচ্ছে না। আসো আসো ভেতরে আসো শিগগির।”

প্রদীপ আগে, আমরা চারজন পেছনে পেছনে যাচ্ছি বাড়ির ভেতরে। অনেক বড়ো ঘর! পুরানো বিল্ডিং। দেয়ালের চারদিক নক্সা করা কারুকার্য। ঘরের ভেতরে সুবিশাল আয়তাকার অতিথিশালা আর চারদিক দামী চেয়ার বসানো। দেয়ালে রয়েছে নানা রঙের ছবি টানানো। আমাদের সাথে নেওয়া ব্যাগগুলো মেজেতে রেখে সবাই বসলাম। প্রদীপের মা একটা প্লেটে করে কিছু বিস্কুট নিয়ে আসলো, অতিথিশালায়। 

বিস্কুটগুলো সামনে দিয়ে বললো, “খাও বাবা সকল। এতো রাতে আর কোনও ঝামেলা করবো না। এগুলো খেয়ে শুয়ে পড়ো। সকালের খাবার খেয়ে তোমরা যাবে।” কানাই বলল, “আচ্ছা ঠিক আছে মাসিমা, আমরা হাত মুখ ধুয়ে তারপর খাব। আর সকালবেলাও আমাদের জন্য আপনার কিছু করতে হবে না। আমাদের খুব ভোরবেলা উঠেই রওনা দিতে হবে।”

প্রদীপের মা শোবার ঘরে চলে গেলো। প্রদীপ তখনও অতিথিশালায়। কানাইর সাথে শোফার একপাশে বসে ঝিমাচ্ছে। কানাই প্রদীপকে বললো, “কি হলো রে প্রদীপ? ঘুমিয়ে পড়লি নাকি? আমরা কে কোথায় ঘুমাবো একটু বলে দে?”
প্রদীপ চোখ ঢলতে-ঢলতে শোফা থেকে ওঠে বললো, “ভেতরে আর জায়গা নেই যে! তোদের সবাইকে এখানেই কষ্ট করে ঘুমাতে হবে।”

এই কথা বলেই প্রদীপ আরেক ঘরে চলে গেল। অতিথিশালায় তখন আমরা চারজন ছাড়া কেউ ছিলো না। পেটের খুদায় আর ঠিক থাকতে পারছি না। খুদা নিবারণের জন্য মাসিমার দেয়া বিস্কুটগুলো সবাই মিলে-মিশে হজম করলাম। অতিথিশালায় তিনটে শোফা ছাড়া আর কোনও বিছানাপত্র ছিল না। 

কানাই একটায়, আমি একটায় আর দু’বোন একটা শোফায় ঘুমিয়ে পুড়লো। সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও আমার চোখে ঘুম ছিলো না। আমার শুধু চিন্তা! ভারতের এমন কেচ্ছা-কাহিনী আমি অনেক আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু স্বচক্ষে দেখিনি। কানাইর সাথে যাবার পর-ই নিজ চোখে দেখার ভাগ্য হলো। যেমনটা দেখলাম, কিছুক্ষণ আগে কানাইর বন্ধু প্রদীপদের বাড়িতে আসার পর। 
চলবে...

ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম,

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এই পৃথিবীর একমাত্র সতী নারী হলো আপনার আমার গর্ভধারিণী মা

গাঁজা বা সিদ্ধি: ইতিহাস, উপকার ও ক্ষতি

মা-বাবার আশীর্বাদে মেয়ের বিয়ে ও কিছু অলৌকিক ঘটনা