চারদিকে যুদ্ধের ডামাডোল
যুদ্ধ থামবে কবে?
✍️ ভূমিকা
যুদ্ধ—শব্দটি শুনতেই যেন গা শিউরে ওঠে। ধ্বংস, কান্না, হাহাকার আর অনিশ্চয়তা—এই শব্দের পেছনে লুকিয়ে থাকে হাজারো বেদনার গল্প। চারপাশে যখন যুদ্ধের ডামাডোল, তখন মানবিক অনুভূতিরা মুখ লুকায় ধ্বংসস্তূপে। এই কবিতাটি লেখা হয়েছে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলিকে স্মরণ করে— যেখানে শিশুর কান্না, মায়ের চোখের শূন্যতা আর বৃদ্ধের নির্বাক হতবাক চাহনি একসাথে মিলিয়ে দেয় এক বেদনার বার্তা।
জ্বলছে নগর, পুড়ছে লোক—
আকাশ কাঁদে, মাটি নড়ে,
নিঃশব্দ গ্রামে কান্না পড়ে।
শিশুর চোখে ভয়ের ছবি,
মায়ের বুকে আগুন থাবি।
না আছে আশা, না আছে শান্তি,
চারিদিকে মৃতের ভ্রান্তি।
জানেনা কেউ— থামবে কবে,
এই রক্তধারা গঙ্গা হবে?
ছেলে জানে না, না জানে বৃদ্ধ,
হারায় প্রতিদিন হাজার চিত্ত।
যোয়ান গেছে, ফেরা নাই,
পথে পথে শুধু পঁচা নিস্তাই।
কে দেবে শান্তির একটুকু গান?
কে রাখবে রক্তে ভেজা প্রাণ?
যুদ্ধ থামুক, এই কামনা,
ভালোবাসা হোক জীবনের মানা।
নতুন সূর্য উঠুক ধীরে,
আলো ফিরুক প্রতিটি তীরে।
🕊️ উপসংহার
যুদ্ধের ক্ষত কেবল বন্দুকের গুলিতে হয় না—তা মানুষের আত্মায়ও দাগ ফেলে যায়। এই কবিতাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, শান্তি কেবল চাওয়ার জিনিস নয়, এটি একটি প্রয়োজন—একটি মানবিক দায়িত্ব। আমরা যেন কেবল যুদ্ধে না, ভালোবাসার প্রতিধ্বনিতেও কান দিই। কারণ পৃথিবীটা সুন্দর—যদি আমরা তা সেভাবেই রাখতে চাই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
nitaibabunitaibabu@gmail.com