মানবতার মন্দির

 

🕊️ মানবতার মন্দির

লিখেছেন: নিতাই বাবু

🌼 ভূমিকা

আজকের সমাজে আমরা ধর্মীয় আচারে যতটা উৎসাহী, মানবিক দায়িত্ববোধে ততটাই উদাসীন। মন্দিরে দান করি, প্রার্থনায় মাথা নত করি, কিন্তু পাশের ক্ষুধার্ত মানুষটির দিকে তাকাই না। এই কবিতাটি সেই বাস্তবতাকে সামনে আনে—যেখানে ভগবানের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে মানবতা।

✍️ কবিতা: মানবতার মন্দির

মন্দিরের দান বাক্সে ফেলে টাকা শতশত,  
ধনী-গরিব মিলেমিশে ভক্তবৃন্দ আছে যত।  
ভক্তিভরে করে দান, হাত জোড়ে মাথা নত,  
দেয় না তাদের, যারা ক্ষুধায় কান্নায় থাকে রত।  

ঘণ্টাধ্বনি, প্রদীপ জ্বলে, ধূপে ভরে চারদিক,  
মনে রাখে না কেউ পাশের ক্ষুধার্ত শিশুটিক।  
ভগবানের নাম জপে, পূজার ফুলে পূর্ণ থাল,  
দেয় না একমুঠো ভাত, যার ঘরে নেই আজকাল।  

মন্দিরে যে স্বর্ণ মুকুট, সেই মুকুটে কী দাম?  
যদি পথে মরে শিশু, পত্রিকায় উঠে না তার নাম। 
ভক্তি যদি হয় সত্য, তবে সে তো হবে প্রীতি, মানবসেবাই ধর্ম, সেখানেই থাকে ঋতি। ভগবান কি চায় ধূপ-ধুনো, সাজসজ্জা আর ধ্বনি? নাকি চায় সে সহানুভূতি—প্রেমের অমলবাণী? মন্দির নয়, মানব হৃদয় হোক তোমার পূজার স্থান, ভালোবাসা দাও সবারে, তবেই হবে পরিত্রাণ।

💭 উপসংহার

সত্যিকারের ভক্তি কেবল প্রার্থনায় নয়—প্রাণে প্রাণ মিলানোর মাঝেই। দান যদি হয় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে, তবে তা আগে হোক মানুষের জন্য। কারণ, ভগবান বাস করেন সেই হৃদয়ে, যেখানে প্রেম ও সহানুভূতির দীপ জ্বলে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এই পৃথিবীর একমাত্র সতী নারী হলো আপনার আমার গর্ভধারিণী মা

গাঁজা বা সিদ্ধি: ইতিহাস, উপকার ও ক্ষতি

মা-বাবার আশীর্বাদে মেয়ের বিয়ে ও কিছু অলৌকিক ঘটনা