পোস্টগুলি

বাংলা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জের কিছু আঞ্চলিক ভাষার শব্দ

ছবি
নারায়ণগঞ্জের কিছু আঞ্চলিক ভাষা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ রয়েছে। ৮টি বিভাগে রয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার গ্রাম । এই ৬৮ হাজার গ্রামের মানুষ কিন্তু শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলে না। তবে এটা ঠিক যে, তারা শুদ্ধ ভাষা বলতে পারে না — এমন না। অনেকেই পারে, জানে, বোঝে। তবুও মানুষ সাধারণত যেই অঞ্চলের, সে সেই নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কারণ এই ভাষার মধ্যে লুকিয়ে থাকে তার মাটির টান আর মায়ের ভাষার টান । যেমন— চট্টগ্রামের মানুষ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। নোয়াখালীর মানুষ নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। আবার বরিশালের মানুষ বরিশালের টানে কথা বলে। যদিও আমার জন্ম নোয়াখালীতে , তবুও আমি নিজেকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ বলে দাবি করি। কারণ আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি এই নারায়ণগঞ্জ শহরেই। তাই এখন আমি নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেই বেশি পছন্দ করি। বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা আমি জানি এবং বলতে পারি। কিন্তু আজ আমি অন্য অঞ্চলের ভাষা নয়, নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষার কিছু জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত শব্দ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। তো চলুন, দেরি না করে আমরা শ...

জীবনের গল্প-২

ছবি
                   শ্রী নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) জীবনের গল্প-১ শেষাংশ ↓↓ থাকতাম মিল অভ্যন্তরে শ্রমিক ফ্যামিলি কোয়ার্টারে। সময়টা তখন হতে পারে ১৯৭৩ সালের নভেম্বর নাহয় ডিসেম্বর মাস। জীবনের গল্প-২ আরম্ভ ↓↓ গ্রামের বাড়ি থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পর প্রায় মাসখানেক পর্যন্ত আমার কোনও বন্ধুবান্ধব তো ছিল না,  এমনকি মিলের ভেতরে থাকা শ্রমিক কোয়ার্টারের কোনও সমবয়সী ছেলে আমার সাথে কথাও বলতো না।  আমিও মিলের ভেতরে থাকা ওদের সাথে বেশি মিশতাম না। কারণ আমার নোয়াখালীর ভাষা ওরা কেউ বুঝতো না। আমি কিছু বলতে গেলেই আরও চার-পাঁচজন হিহিহি করে হাসতো। ওরা আমাকে দেখলেই নোয়াখাইল্লা নোয়াখাইল্লা বলে হাসাহাসি করতে।  আবার আমার চেহেরাটা বেশি সুশ্রী ছিল না বলে, ওরা আমাকে দেখে ভেংচি দিতো। আসলে ওদের কোনও দোষ ছিল না। দোষ ছিল আমার কুশ্রীত চেহারার। আমার মুখমণ্ডল আরও দশজনের চেয়ে অন্যরকম ছিল। মানে কুশ্রী।  চেহারা কুশ্রী হওয়ার কারণ হলো, আমার বয়স যখন চার বছর; তখন নাকি আমি গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিনমাস পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে লড়াই করে রোগমুক্ত ...