পোস্টগুলি

মৃত্যু লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানুষ কেন এই পৃথিবীতে চিরদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু পারে না?

ছবি
  মানুষ কেন এই পৃথিবীতে চিরদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু পারে না? 🌎 মানুষ কেন এই পৃথিবীতে চিরদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু পারে না? ✨ মানুষ কেন চিরদিন বাঁচতে চায়? প্রকৃতিগত প্রবৃত্তি: প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকে। ভালোবাসা ও সম্পর্ক: পরিবার, প্রিয়জন, সম্পদ, সম্মান—এসবের প্রতি টান মানুষের মনে “চিরকাল বেঁচে থাকার” ইচ্ছা জাগায়। ভয়: মৃত্যুর পর কী আছে—অজানার এই ভয়ে মানুষ মৃত্যুকে দূরে ঠেলে দিতে চায়। সুখের আকাঙ্ক্ষা: জীবনে পাওয়া আনন্দ, সাফল্য, সৌন্দর্য—এসব বারবার উপভোগ করতে মানুষ বাঁচতে চায়। 🌿 কিন্তু কেন মানুষ পারে না? প্রকৃতির নিয়ম: জন্ম, বৃদ্ধি, বার্ধক্য ও মৃত্যু—এটি জীবনের অবধারিত চক্র। যেমন ফুল ফোটে, শুকিয়ে যায়। জীববিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা: মানবদেহের কোষগুলোর নির্দিষ্ট জীবনকাল আছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহ ক্ষয় হয় ও মৃত্যু ঘটে। রোগ-বালাই ও দুর্ঘটনা: ক্যানসার, হৃদরোগ বা দুর্ঘটনা মানুষের জীবন হঠাৎ থামিয়ে দেয়। সমাজ ও দর্শন: মৃত্যু না থাকলে জীবন অর্থহীন হতো। মৃত্যু মানুষকে সময়ের মূল্য শেখায় ও ভালো কাজের ত...

মানুষের মৃত্যু অনিবার্য — জীবনের অনিশ্চয়তা ও শিক্ষা

ছবি
  মানুষের মৃত্যু অনিবার্য — অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন | নিতাই বাবু মানুষের মৃত্যু অনিবার্য — অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন লেখা: নিতাই বাবু • প্রতিফলন ও ব্যাখ্যা মৃত্যুর উপর কারোর হাত নেই "এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই অনিশ্চিত; কেবল মানুষের মৃত্যু-ই একমাত্র নিশ্চিত।" ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ধর্ম-গ্রন্থে প্রায়ই মৃত্যুকে জীবনচক্রের একটি অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইসলাম, হিন্দুধর্ম, খ্রিস্টানধর্ম—প্রতিটি ধারায় মৃত্যুকে বাধ্যতামূলক এবং মানবজীবনের পরীক্ষার অংশ বলে বর্ণনা করা হয়। এই বিশ্বাস মানুষের মনে বিনয়, অনুপ্রেরণা ও পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা জাগায়। ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের বলে—প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ: ভালো কাজ করা, অপরের কল্যাণে সময় দেওয়া এবং শেষকালের জন্য আত্মাকে প্রস্তুত রাখা। এই দিক থেকেই মৃত্যুকে গ্রহণ করাটা নিষ্ঠা ও ধৈর্যের পরিচায়ক। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ জীববিজ্ঞানে মৃত্যুকে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়—কোষের...

চোখের সামনে নিজেকে পুড়তে দেখেছি

ছবি
  🔥 চোখের সামনে নিজেকে পুড়তে দেখেছিলাম 🔥 একদিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুমটা যেন ছিল কোনো নরম হাতের আশীর্বাদ, শান্তির চাদরে মোড়ানো এক অচেনা যাত্রা। ঘুমের ঘোরে আমি এমন এক স্বপ্নে প্রবেশ করলাম, যেটা আমার পূর্বজীবনের কোনো গল্প নয়—এ যেন ভবিষ্যতের, বা তারও ওপারে কোনো অলিখিত অধ্যায়। স্বপ্নে আমি আনন্দে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। হালকা আলো, শীতল বাতাস, গায়ে গায়ে নরম তরঙ্গের মতো ভেসে আসা হাসির ছায়া—যেন স্বর্গের সীমানায় হেঁটে বেড়াচ্ছি আমি। না কোনো দুঃখ, না কোনো ক্লান্তি, না কোনো সময়ের গলা টিপে ধরা বাঁধন। কেবল প্রশান্তি আর মুক্তির গান। এই অপার্থিব অনুভবের মাঝে হঠাৎই কানে আসে এক কান্নার শব্দ। খুব পরিচিত। ঘরের ভেতরের কেউ যেন কাঁদছে—চিৎকার করে বলছে, "ওঠো না কেন? শুনছো না? আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো?" আমি চোখ ফেরালাম। দেখি আমারই ঘরের মেঝেতে আমি শুয়ে আছি—নিস্তব্ধ, নিশ্চল। আমার চারপাশে পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে কাঁদছে। আমি সবই দেখছি, শুনছি, কিন্তু আমার শরীরে ফিরতে পারছি না। যেন সেই দেহ হয়ে উঠেছে একটি শূন্য ঘর, যার প্রতিটি দরজা-জানালা বন্ধ। আমি অনেক চেষ্টা করেও ভেতরে ঢুক...