পোস্টগুলি

জুলাই ১৩, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোবাইলের যুগে ডাকবাক্স শুধুই একটা পরিত্যক্ত লোহার বাক্স

ছবি
গত বছর সাতেক আগে একটা জরুরি কাজে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলাম। যাচ্ছিলাম অটো চড়ে। হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট পেরিয়ে যখন কিল্লারপুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, রাস্তার বাম পাশে ময়লা-আবর্জনার মধ্যে একটা ডাকবাক্স দেখতে পেলাম—যা এখনও একইভাবে ঠিক আগের জায়গাতেই আছে। ডাকবাক্সটি অনেক আগে থেকেই এখানে বসানো হয়েছিল। তবে আগে ডাকবাক্সটির সামনে এত ময়লা-আবর্জনা ছিল না, সবসময় পরিষ্কারই ছিল। বর্তমানে ডাকবাক্সটি পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। ডাকবাক্সটি ময়লার স্তুপের উপর ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। বাক্সের চারপাশে জঙ্গলে একাকার। দেখে মনে হয়, হয়তো মাসে না হয় বছরে একবার এই ডাকবাক্সটির তালা খোলা হয়।  ডাকবাক্সটির অবস্থান হাজীগঞ্জ কিল্লারপুল সংলগ্ন ড্রেজার সংস্থার মেইন গেট ঘেঁষা। ডাকবাক্সটি দেখে নিজের স্মৃতিতে থাকা আগেকার কথা মনে পড়ে গেল। একসময় এদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ডাকবাক্স ছিল খুবই সম্মানী বস্তু। এই ডাকবাক্স ছিল অগণিত মানুষের সুখ-দুঃখের সাথি। এসবের জ্বলন্ত সাক্ষী আমি নিজেই। দেখতাম, একটা চিঠির অপেক্ষায় আমার মা ডাকপিয়নের বাড়িতেও দৌড়াতেন। বাবার প্রেরিত চিঠি মা হাতে পেয়ে অস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন। চিঠি হাতে পেয়ে ডাকপিয়নকে কত না অনুরোধ করতে...

ঘুমের ঘোরে চাঁদের বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ

ছবি
 স্বপ্ন কে না দেখে? স্বপ্ন দেখে আর স্বপ্ন নিয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে। নিজেও বেঁচে আছি স্বপ্ন দেখে! মানুষের মুখে অনেক শুনেছি ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখার কথা। অনেক মানুষকে বলতে শুনেছি, “রাতে স্বপ্ন দেখলাম, আমেরিকা গিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করছি। সেই স্বপ্ন আমার ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই শেষ!” আবার কেউ বলছিল, “রাতে স্বপ্নে দেখলাম, রাশিয়ার সাবমেরিনে চড়ে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে গিয়ে মণিমুক্তা খুঁজছিলাম। হঠাৎ গিন্নির শরীরের ধাক্কায় ঘুমটা ভেঙে গেলো। তারপর দেখি আমি আমার ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে আছি!” মানুষের মুখে এমন হাজারো স্বপ্নের কথা বারংবার শুনেছি। মানুষের মতো প্রতি রাতে ঘুমের ঘোরে নিজেও অনেক স্বপ্ন দেখেছি। তবে অন্যসব মানুষের মতো নিজে কখনো সাবমেরিনে চড়ে মহাসাগরের তলদেশে যাইনি, নিরুদ্দেশ হয়ে যাবো বলে। যদি সাবমেরিনে চড়ে পানির নিচে গায়েব হয়ে যাই, তাহলে আমার দুখিনী গিন্নি সারাজীবন আমার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাবে। তাই অসহায় গিন্নির কথা চিন্তা করে স্বপ্নে কখনো সাবমেরিনে চড়িনি। সাবমেরিনের স্বপ্ন কখনও দেখিওনি। তবে হ্যাঁ, একবার নাসার মহাকাশযানে চড়তে চেয়েছিলাম। অত্যাধুনিক রকেটে চড়ে চাঁদের দেশে যেতে চেয়েছিল...

এখনো বেঁচে আছি… কারণ এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি!

ছবি
  📜 এখনো বেঁচে আছি… কারণ এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি! ১৯৭১ সালের সেই বিভীষিকাময় সময় আমি নিজের চোখে দেখেছি। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত—আগুন, রক্ত আর কান্নায় মোড়া ছিল আমাদের চারপাশ। তখন আমি ছোট হলেও, মন যে বড় হয়ে গিয়েছিল—তা এখন অনুভব করি। সেই সময়, আমরা জানতাম শত্রু কে। তারা ছিল বিদেশি হানাদার । তাদের রাইফেলের মুখে, ট্যাংকের চেইনে, আমাদের স্বপ্ন মুছে দিচ্ছিল। তবু বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল এ দেশের সাধারণ মানুষ। আর আজ? আজ আমি ২০২৫-এ দাঁড়িয়ে দেখি, সেই রাইফেল এখন নিজের দেশের ছেলেমেয়েদের দিকে তাক করে আছে। সেই ট্যাংক নয়, আজকের নাম ‘রাষ্ট্রযন্ত্র’—আর তার চাকার নিচে পিষ্ট হচ্ছে স্বাধীন দেশের মানুষ। পুলিশ, র‍্যাব, বিশেষ বাহিনী—আজ যারা গুলি ছোড়ে নিজের দেশেরই তরুণদের বুকে। কী নিদারুণ ব্যথা! যে স্বাধীনতার জন্য এ জাতি লাখো প্রাণ দিয়েছিল, সেই দেশেরই বাহিনীগুলো আজ নিজের দেশের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে নিঃশেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আরও ভয়াবহ হলো—আজও আছে সেই ৭১-এর  স্বাধীনতা বিরোধী মানসিকতার কিছু হিংস্র মানুষ, যারা রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের নীরব অথবা সক্রিয় সহযোগী। আজ তারা সংবিধান, সংবেদনশীলতা, ম...